আলকুমারির কাহিনী :
(সত্য ঘঠনা অবলম্বনে)
বাংলাদেশর একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী। ১৬০০সালের দিকে বড় ধরনের ভূমিকম্পের কারনে মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এই দ্বীপের উৎপত্তি। আটারশত সালের শেষের দিকে এই দ্বীপে মকবুল সিকদার নামে একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার ছিল। কথিত রয়েছে তার শতশত দুন(এক দুন সমান ১৬ কানি)সম্পত্তি তামার দলিলে লেখা ছিল। তার এত বেশি মহিশ ছিল মানুষ বাজি রেখেও কোনদিন মহিশের সংখ্যা গনণা করতে পারেনি। তিনি স্বপ্নে দেখার কথা বলে নিজের সম্পত্তি আদিনাতের পাহাড় ও আশপাশের কিছু জায়গা তীর্থ মেলা আয়োজনের জন্য হিন্দুদেরকে দান করেছিলেন। মানুষের ধারনা ছিল হিন্দুদের মাঝেও প্রভাব বিস্তারের জন্য তিনি এ সম্পত্তি দান করেছিলেন।সে সময়ে জমিদার মকবুল সিকদারের আলকুমারি সুন্দরী নামে একমেয়ে ছিল।মেয়েটির রুপ,গুন ও সুন্দর্য্যের কথা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে এ অঞ্চলে মেয়েটি আলকুমারি সুন্দরী নামে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। তার উপযুক্ত বয়সে বিভন্ন স্থান থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে। পোকখালী হতে তজু বলি নামক এক কুস্তিগির আলকুমারির সাথে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।সেকালে কুস্তিগিরের প্রভাব ও সামাজিক প্রতিপত্তি ছিল খুবই মর্যাদাবান।সে সময়ের নামকরা কুস্তিগির তজুবুলির সাথে আলকুমারির বিয়েতে রাজি হয়নি পিতা মকবুল সিকদার।প্রভাব কাটিয়ে জোরকরে অপ্রতিকর ঘটনার মাধ্যমে আলকুমারিকে বিয়ে করতে গিয়ে মকবুল সিকদার ও তার বাহিনীর নিকট তজুবলি গুলি খেয়ে নির্মম ভাবে নিহত হয়েছিল। এ ঘটনা সারা অঞ্চলে প্রচার হলে পন্ডিত ব্যক্তি তজুবলিকে নিয়ে গান(হলা)তৈরি করেছিল-
তজুবলি ফুলের বলি
অল্প বয়সে খায়ছেরে গুলি
তার জীবনটা নিমিষে গেলরে চলি।..................
মকবুল সিকদার তজুবলিকে হত্যা করে ক্রান্ত হয়নি মহেশখালী চ্যানেলের পূর্ব প্রান্তের জনসাধারণকে অমানুষ আখ্যায়িত করে গালিগালাজসহ বিভিন্ন অপমান সূচক বাক্য ব্যবহার করে, তার মেয়েকে পূর্ব এলাকার মানুষের সাথে বিয়ে দেবেনা প্রয়োজনে কেটে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার কথাঘোষনা করে।এই কথাটি অনেকের মত ভারুয়াখালীর পশ্চিম পাড়ার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান মশরপ আলী বলির ছেলে আব্দুল জব্বার শুনতে পেলে তিনি আলকুমারিকে যেকোনো মূল্যে বিয়ে করে পূর্ব এলাকার মানুষকে অপমানের প্রতিশোধ নিতে পন করেন।আলকুমারির সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলার জন্য তিনি নিয়মিত মহেশখালী যাতায়ত শুরু করে। কথিত রয়েছে তিনি কয়েকটি বাশ অথবা কয়েকটি কলাগাছ বেধে রাত-দুপুরে মহেশখালী নদী পাড়ি দিতেন।অনেক দিন যোগাযোগ করে চতুর দু:সাহসিক আব্দুল জব্বার প্রথমে আশপাশের সচেতন মানুষ ও মকবুল সিকদারের আপন ভাই নাজির আলী সিকদারের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলে।পরে নাজির আলী সিকদারের মাধ্যমে আব্দুর জব্বার আলকুমারির নিকট গোপনে নিজের পরিচয় ও বিয়ের প্রস্তাব তুলে ধরে।কিছুদিন পর ভেবে চিন্তে আলকুমারি আব্দুল জব্বারের সাথে বিয়েতে সম্মতি প্রকাশ করে। এই খবর মকবুল সিকদার জানতে পারলে আব্দুল জব্বারকেও বিভিন্ন ভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র করে।হত্যা করতে ব্যর্থ হয়ে মকবুল সিকদার কৌশলী আব্দুল জব্বারের বিরোদ্বে পুলিশফাড়িতে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মকবুল সিকদার ও আব্দুল জব্বারকে একই সময়ে পুলিশ ফাড়িতে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করে।উভয়ে পুলিশ ফাড়ীতে হাজির হলে মকবুল সিকদার পুলিশকে বলেন এই ছেলেটি আব্দুল জব্বারকে নির্দেশ করে মহেশখালী খালের পূর্ব প্রান্ত থেকে এসে এই এলাকায় বলে বেড়ায় সেকিনা আমার মেয়েকে বিয়ে করবে। অথচ সে আমার মেয়েকে ছিনেনা জানেনা কোনদিন দেখেওনি। সে আমার মেয়েটিকে বিভন্ন ভাবে নাজেহাল করার জন্য চেষ্টা করতে পারে। পরে তজু বলির মতো কোনো অপ্রতিকর ঘটনা হতে পারে চিন্তা করে আমি আপনাদের(পুলিশকে লক্ষ্যে করে বলেন) সরনাপন্ন হয়েছি।উল্লেখ্য তজু বলির ঘটনাটি আপোষের মাধ্যমে নিস্পত্তি হয়েছিল।এইদিকে আব্দুল জব্বার পুলিশকে লক্ষ্যে করে বলেন আলকুমারিকে বিয়ে করার জন্য আমি আনুষ্টানিক ভাবে প্রস্তাব দিয়েছি তার পিতা রাজি নাহলেও আমার ব্যক্তিত্বের কথা শুনে সে আমাকে বিয়ে করার জন্য সম্মত হয়েছে।আমার সাথে বিয়ে নাদিলে আলকুমারি আত্নহত্যা করতে পারে।নাজির আলী সিকদার,আলকুমারি ও তার প্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনারা বিষয়টি পুরাপুরি জানতে পারবেন।উভয়ের কথা শুনে পুলিশ সয়ম্বর সমাবেশ আয়োজনের সিদ্বান্ত নিল। সমাবেশে আলকুমারি ও তার সমবয়সি ৫০জনকে একই ড্রেস পরিধান করে সারিবদ্ধ ভাবে দন্ডায়মান করা হয়।এখন আব্দুল জব্বারকে পুলিশ বলে দিল মেয়দের সারি থেকে আলকুমারিকে দেখিয়ে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে এবংপরিচয়ের পর আলকুমারি যদি তোমার বিরোধীতা না করে ধরে নেওয়া হবে আলকুমারি তোমার সাথে বিয়েতে রাজি তাহলে তাকে তোমার হাতে তুলে দেওয়া হবে।অন্যথায় মকবুল সিকদারের অভিযোগের ভিত্তিতে তোমাকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।এইদিকে আলকুমারির সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ বেশি নাথাকলেও চাচা নাজির আলী সিকদারের মাধ্যমে আলকুমারিকে নিজের পক্ষে করে নিতে সক্ষম হয়েছিল আব্দুল জব্বার। সয়ম্বর সভায় মেয়েদের সাথে সারিতে যাওয়ার আগে মকবুল সিকদারের অগোচরে নাজির আলি সিকদার আলকুমারির কনিষ্ঠ আঙ্গুলে একটি আংটি পড়িয়ে দিয়েছিল। সে বিষয়টি নাজির আলি সিকদার আব্দুল জব্বারকে অবগত করে।নির্দিষ্ট সয়ম্বর সভায় উপস্থিত হয়ে আব্দুল জব্বার সারিবদ্ধভাবে দাড়ানো মেয়েদের থেকে আলকুমারিকে পরিচয় করে দিতে সক্ষম হয়।আলকুমারি আব্দুল জব্বারের বিরোদ্বে কোন প্রকার বিরোধীতা না করতে দেখে সয়ম্বর সভাতেই মকবুল সিকদার বেহুশ হয়ে পড়ে যায়।এভাবে মকবুল সিকদারের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে চাচা নাজির আলি সিকদারের উপস্থিতিতে ইসলামী শরিয়ামতে আব্দুল জব্বারের সাথে আলকুমারির বিয়ে সম্পন্ন হয়।বিয়ে করে আব্দুল জব্বার আলকুমারিকে ভারুয়াখালীতে নিয়ে আসলে মেজবান ও মেলা করে মহেশখালীর পূর্ব এলাকার মানুষ একটনা সাতদিন বিজয় উৎসব করে।সেকালে এই বিষয়টি সমগ্র অঞ্চলে মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়।মানুষ অনেক বছর এই বিষয়টি স্মরনে রেখছিল।এখনো বৃদ্ধ বষসের মানুষের নিকট এই সত্য কাহিনীটি বলতে শুনা যায়।
সেকালে এই কাহিনীটি কবিদের ভাষায় লিখা ছিল-আলকুমারি রুপে গুনে সুন্দরী
তার লাগিয়া আব্দুল জব্বার
বিনা নায়ে মহেশখালী দরিয়া দিলেরে পাড়ি।...
..............
আব্দুর জব্বার ১৯৫৫সালে ৯০ বছর বয়সে এবং আলকুমারি ১৯৭৫সালে ৯৭বছর বয়সে ভারুয়াখালীর পশ্চিম পাড়া গ্রামে মারা যান।হিন্দুদের উপর প্রভাবের দন্ধে মকবুল সিকদারকেও প্রসন্ন বউ নামে এক হিন্দু বিষ খায়ে হত্যা করে।
(সত্য ঘঠনা অবলম্বনে)
বাংলাদেশর একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী। ১৬০০সালের দিকে বড় ধরনের ভূমিকম্পের কারনে মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এই দ্বীপের উৎপত্তি। আটারশত সালের শেষের দিকে এই দ্বীপে মকবুল সিকদার নামে একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার ছিল। কথিত রয়েছে তার শতশত দুন(এক দুন সমান ১৬ কানি)সম্পত্তি তামার দলিলে লেখা ছিল। তার এত বেশি মহিশ ছিল মানুষ বাজি রেখেও কোনদিন মহিশের সংখ্যা গনণা করতে পারেনি। তিনি স্বপ্নে দেখার কথা বলে নিজের সম্পত্তি আদিনাতের পাহাড় ও আশপাশের কিছু জায়গা তীর্থ মেলা আয়োজনের জন্য হিন্দুদেরকে দান করেছিলেন। মানুষের ধারনা ছিল হিন্দুদের মাঝেও প্রভাব বিস্তারের জন্য তিনি এ সম্পত্তি দান করেছিলেন।সে সময়ে জমিদার মকবুল সিকদারের আলকুমারি সুন্দরী নামে একমেয়ে ছিল।মেয়েটির রুপ,গুন ও সুন্দর্য্যের কথা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে এ অঞ্চলে মেয়েটি আলকুমারি সুন্দরী নামে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। তার উপযুক্ত বয়সে বিভন্ন স্থান থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে। পোকখালী হতে তজু বলি নামক এক কুস্তিগির আলকুমারির সাথে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।সেকালে কুস্তিগিরের প্রভাব ও সামাজিক প্রতিপত্তি ছিল খুবই মর্যাদাবান।সে সময়ের নামকরা কুস্তিগির তজুবুলির সাথে আলকুমারির বিয়েতে রাজি হয়নি পিতা মকবুল সিকদার।প্রভাব কাটিয়ে জোরকরে অপ্রতিকর ঘটনার মাধ্যমে আলকুমারিকে বিয়ে করতে গিয়ে মকবুল সিকদার ও তার বাহিনীর নিকট তজুবলি গুলি খেয়ে নির্মম ভাবে নিহত হয়েছিল। এ ঘটনা সারা অঞ্চলে প্রচার হলে পন্ডিত ব্যক্তি তজুবলিকে নিয়ে গান(হলা)তৈরি করেছিল-
তজুবলি ফুলের বলি
অল্প বয়সে খায়ছেরে গুলি
তার জীবনটা নিমিষে গেলরে চলি।..................
মকবুল সিকদার তজুবলিকে হত্যা করে ক্রান্ত হয়নি মহেশখালী চ্যানেলের পূর্ব প্রান্তের জনসাধারণকে অমানুষ আখ্যায়িত করে গালিগালাজসহ বিভিন্ন অপমান সূচক বাক্য ব্যবহার করে, তার মেয়েকে পূর্ব এলাকার মানুষের সাথে বিয়ে দেবেনা প্রয়োজনে কেটে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার কথাঘোষনা করে।এই কথাটি অনেকের মত ভারুয়াখালীর পশ্চিম পাড়ার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান মশরপ আলী বলির ছেলে আব্দুল জব্বার শুনতে পেলে তিনি আলকুমারিকে যেকোনো মূল্যে বিয়ে করে পূর্ব এলাকার মানুষকে অপমানের প্রতিশোধ নিতে পন করেন।আলকুমারির সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলার জন্য তিনি নিয়মিত মহেশখালী যাতায়ত শুরু করে। কথিত রয়েছে তিনি কয়েকটি বাশ অথবা কয়েকটি কলাগাছ বেধে রাত-দুপুরে মহেশখালী নদী পাড়ি দিতেন।অনেক দিন যোগাযোগ করে চতুর দু:সাহসিক আব্দুল জব্বার প্রথমে আশপাশের সচেতন মানুষ ও মকবুল সিকদারের আপন ভাই নাজির আলী সিকদারের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলে।পরে নাজির আলী সিকদারের মাধ্যমে আব্দুর জব্বার আলকুমারির নিকট গোপনে নিজের পরিচয় ও বিয়ের প্রস্তাব তুলে ধরে।কিছুদিন পর ভেবে চিন্তে আলকুমারি আব্দুল জব্বারের সাথে বিয়েতে সম্মতি প্রকাশ করে। এই খবর মকবুল সিকদার জানতে পারলে আব্দুল জব্বারকেও বিভিন্ন ভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র করে।হত্যা করতে ব্যর্থ হয়ে মকবুল সিকদার কৌশলী আব্দুল জব্বারের বিরোদ্বে পুলিশফাড়িতে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মকবুল সিকদার ও আব্দুল জব্বারকে একই সময়ে পুলিশ ফাড়িতে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করে।উভয়ে পুলিশ ফাড়ীতে হাজির হলে মকবুল সিকদার পুলিশকে বলেন এই ছেলেটি আব্দুল জব্বারকে নির্দেশ করে মহেশখালী খালের পূর্ব প্রান্ত থেকে এসে এই এলাকায় বলে বেড়ায় সেকিনা আমার মেয়েকে বিয়ে করবে। অথচ সে আমার মেয়েকে ছিনেনা জানেনা কোনদিন দেখেওনি। সে আমার মেয়েটিকে বিভন্ন ভাবে নাজেহাল করার জন্য চেষ্টা করতে পারে। পরে তজু বলির মতো কোনো অপ্রতিকর ঘটনা হতে পারে চিন্তা করে আমি আপনাদের(পুলিশকে লক্ষ্যে করে বলেন) সরনাপন্ন হয়েছি।উল্লেখ্য তজু বলির ঘটনাটি আপোষের মাধ্যমে নিস্পত্তি হয়েছিল।এইদিকে আব্দুল জব্বার পুলিশকে লক্ষ্যে করে বলেন আলকুমারিকে বিয়ে করার জন্য আমি আনুষ্টানিক ভাবে প্রস্তাব দিয়েছি তার পিতা রাজি নাহলেও আমার ব্যক্তিত্বের কথা শুনে সে আমাকে বিয়ে করার জন্য সম্মত হয়েছে।আমার সাথে বিয়ে নাদিলে আলকুমারি আত্নহত্যা করতে পারে।নাজির আলী সিকদার,আলকুমারি ও তার প্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনারা বিষয়টি পুরাপুরি জানতে পারবেন।উভয়ের কথা শুনে পুলিশ সয়ম্বর সমাবেশ আয়োজনের সিদ্বান্ত নিল। সমাবেশে আলকুমারি ও তার সমবয়সি ৫০জনকে একই ড্রেস পরিধান করে সারিবদ্ধ ভাবে দন্ডায়মান করা হয়।এখন আব্দুল জব্বারকে পুলিশ বলে দিল মেয়দের সারি থেকে আলকুমারিকে দেখিয়ে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে এবংপরিচয়ের পর আলকুমারি যদি তোমার বিরোধীতা না করে ধরে নেওয়া হবে আলকুমারি তোমার সাথে বিয়েতে রাজি তাহলে তাকে তোমার হাতে তুলে দেওয়া হবে।অন্যথায় মকবুল সিকদারের অভিযোগের ভিত্তিতে তোমাকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।এইদিকে আলকুমারির সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ বেশি নাথাকলেও চাচা নাজির আলী সিকদারের মাধ্যমে আলকুমারিকে নিজের পক্ষে করে নিতে সক্ষম হয়েছিল আব্দুল জব্বার। সয়ম্বর সভায় মেয়েদের সাথে সারিতে যাওয়ার আগে মকবুল সিকদারের অগোচরে নাজির আলি সিকদার আলকুমারির কনিষ্ঠ আঙ্গুলে একটি আংটি পড়িয়ে দিয়েছিল। সে বিষয়টি নাজির আলি সিকদার আব্দুল জব্বারকে অবগত করে।নির্দিষ্ট সয়ম্বর সভায় উপস্থিত হয়ে আব্দুল জব্বার সারিবদ্ধভাবে দাড়ানো মেয়েদের থেকে আলকুমারিকে পরিচয় করে দিতে সক্ষম হয়।আলকুমারি আব্দুল জব্বারের বিরোদ্বে কোন প্রকার বিরোধীতা না করতে দেখে সয়ম্বর সভাতেই মকবুল সিকদার বেহুশ হয়ে পড়ে যায়।এভাবে মকবুল সিকদারের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে চাচা নাজির আলি সিকদারের উপস্থিতিতে ইসলামী শরিয়ামতে আব্দুল জব্বারের সাথে আলকুমারির বিয়ে সম্পন্ন হয়।বিয়ে করে আব্দুল জব্বার আলকুমারিকে ভারুয়াখালীতে নিয়ে আসলে মেজবান ও মেলা করে মহেশখালীর পূর্ব এলাকার মানুষ একটনা সাতদিন বিজয় উৎসব করে।সেকালে এই বিষয়টি সমগ্র অঞ্চলে মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়।মানুষ অনেক বছর এই বিষয়টি স্মরনে রেখছিল।এখনো বৃদ্ধ বষসের মানুষের নিকট এই সত্য কাহিনীটি বলতে শুনা যায়।
সেকালে এই কাহিনীটি কবিদের ভাষায় লিখা ছিল-আলকুমারি রুপে গুনে সুন্দরী
তার লাগিয়া আব্দুল জব্বার
বিনা নায়ে মহেশখালী দরিয়া দিলেরে পাড়ি।...
..............
আব্দুর জব্বার ১৯৫৫সালে ৯০ বছর বয়সে এবং আলকুমারি ১৯৭৫সালে ৯৭বছর বয়সে ভারুয়াখালীর পশ্চিম পাড়া গ্রামে মারা যান।হিন্দুদের উপর প্রভাবের দন্ধে মকবুল সিকদারকেও প্রসন্ন বউ নামে এক হিন্দু বিষ খায়ে হত্যা করে।